হারবাল চিকিৎসায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ভেষজ ওষুধ গাছ গাছালির মাধ্যমে ডায়াবেটিস চিকিৎসা

 হারবাল চিকিৎসায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ



গ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতেনা পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিনব্য বহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রােগ হয় তাহলে ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রােগ।সহজ ভাবে শরীরে অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ। 

এর অনেকরকম চিকিৎসা থাকলেও ভেষজচিকিৎসা সব চাইতে নিরাপর।ছাড়া খাদ্য অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন,

ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে বেশি ভূমিকা রাখে বিধায় অসুখটি বাড়ানাে কমানাে আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন গছ গাছালীর উপদান ছারা।


*করল্লার রসঃ- 


প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় করল্লার রস খেলে ডায়াবেটিক রােগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাবে,রক্তে ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়বে,অন্ত্রে গ্লুকোজের শােষণ কমে যাবে এবং রক্তে ক্ষতিকর চর্বির।


পরিমাণ কমে যাবে।প্রতিদিন ১০০মিলি করল্লার রস সমান।দুই ভাগে ভাগ করে দিনে দুই বার খাবেন খাওয়ার পর পর।এছাড়াও করল্লার রসের পাউডার পাওয়া যায় যা প্রতি কেজি দেহের ওজনের জন্য ১০০মিগ্রা হিসাবে পরিমাণ বের করে তাকে সমান দু ভাগে ভাগ করে দিনে দু’বার ভরা পেটে খাবেন।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে নিচের বিষয়গুলা মেনে চলতে হবেঃ খাদ্য তালিকা অনুযায়ী বিধি নিষেধ মেনে খাবার খেতে হবে। নিয়মিত কিছু কায়িক পরিশ্রম / ব্যয়াম করতে হবে।


নির্দেশ অনুযায়ী রক্ত বা প্রস্রাবে সুগার এর মাত্রা মেপে দেখতে হবে এবং কম-বেশী হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত এ রোগের চিকিৎসা কখনোই বন্ধ রাখা যাবেনা।


পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে যেমন খালি পায়ে হাটা যাবেনা, নরম জুতা পরতে হবে, নিয়মিত নখ কাটতে হবে, সবসময় পা পরিস্কার রাখতে হবে, কোনো আঘাত পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


দাঁতের বিশেষ যত্ন নিতে হবে, যেমন দুই বেলা ব্রাশ ও টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজা, ব্রাশ করার পর ১ মিনিট ধরে দাঁতের মাড়ি মালিশ করা, পান-জর্দা-সুপারি-চুন-তামাক এসব ব্যবহার না করা ইত্যাদি।


দাঁতে কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথেই দাঁতের ডাক্তার কে দেখিয়ে নিবেন এবং প্রতি বৎসর কমপক্ষে একবার তার স্মরনাপন্ন হলে উপকৃত হবেন।


শরীরে কোনো ছোটো-খাটো কাটা ছেড়া হলেও চিকিৎসককে জানাতে হবে এবং তার প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে।প্রতিদিন খালিপেটে ২ টি পাতা সেবনে শতভাগ।নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার। এমটাই দাবি চীন এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের।


 গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রােকাম্বেন্স। এটা চীন এবং সুইজারল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে ডান্ডালিউয়েন নামেও বেশ পরিচিত। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, চীন, মালেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্ব জয় করে এই এন্টি ডায়াবেটিস গাছ এখন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে।


 চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এন্টি ডায়াবেটিস এই গাছটির পাতা এবং পাতার রস সেবনে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সহনীয় মাত্রায় আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 


গাছটির ২ টি পাতা প্রতিদিন খালি পেটে সেবনে শুধু সুগার এবং কলস্টেরল নিয়ন্ত্রণই করে না, তরতাজা রাখে কিডনি, লিভার এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশার।


এছাড়া সুগার স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় আরাে কমিয়ে হাইপােগ্লামিয়ার বিপদ থেকেও রক্ষা করে এবং শরীরের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে এই গাছেরপাতা।

 

যাদের ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং কলস্টেরােল

সমস্যা আছে, তাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে। তবে ইনসুলিন ব্যবহারকারী এবং গ্যাস্ট্রিক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে

২ টি পাতা এবং রাতে শোবার আগে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে।


চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, প্রথম দুই মাস ডায়াবেটিস এর নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি খালি পেটে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে।


 দুই মাস পর থেকে শুধু ২ টি করে৷ গাছের পাতা খেলেই চলবে। এই গাছের পাতা খেয়ে উপকৃত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর হােসাইন মুহাম্মদজাকির। তার সাথে কথা হয় প্রতিক্ষণ ডট কমের সাথে। তিনি জানান, এটা খুব চমৎকার কাজ করে।


সাত বছর আগে আমার ডায়াবেটিস ১১ ধরা পড়ে। সুইজারল্যান্ড থেকে এই গাছটি পাবার পর আমি আর কখনও মেডিসিন নেইনি। 


মেজর জাকির বলেন, 'এই গাছের পাতার সাথে রসুন, নিমপাতা, কঁাচা তেঁতুল পেস্ট করে একদিন রােদে শুকিয়ে ছােট মার্বেলের মতাে অনেকগুলাে বল বানিয়ে, আবার একদিন রােদে শুকিয়ে, একটি এয়ার টাইট বােতলে সংরক্ষণ করার পর, প্রতিদিন চিবিয়ে ১/২ টি বল খেয়ে পানি পান করলে কার্যকারিতা আরাে ভালাে হয়। 


তিনি আরাে বলেন, 'এটা খেয়ে আমার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এখন আমি কোন রেসট্রিকশন মানিনা, জীবনকে উপভােগ করছি। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও ইনসুলিন নেয়া বন্ধ করেছে।


 এই গাছের পাতা হার্টের রােগেও ভাল কাজ করে। মেজর জাকিরের মতাে বিশ্বের অনেকেই এখন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই হার গাছটি সংগ্রহে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। 



ভেষজ ওষধি গুণসম্পন্ন এই গাছটি বেঁচে থাকে ২৫ বছর। সর্বোচ্চ ৩ ফুট লম্বা হয়। এরপর ডালপালা বিস্তার করে জঙ্গলের মতাে হয়ে যায়। তবে এ গাছে সকাল-বিকাল নিয়মিত পানি দিতে হয়।


 সাঁতাতে পরিবেশ এ গাছের জন্য বেশ উপযােগী। সর্বনিম্ন ১০ ইঞ্চি টবে গােবরের সার ও মাটি মিশিয়ে চারা রােপণ করতে হবে।বছরে অন্তত দুই বার মিশ্র সার ব্যবহার করতে পারেন।


এই গাছটি ঘরের বারান্দায়, বাড়ির ছাদে ও টবে নিশ্চিন্তে লাগাতে পারেন। তবে সরাসরি মাটিতে এটা বেশ ভালাে হয়।উল্লেখযােগ্য বিষয় হলাে, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ২ টি পাতা সেবন করলে তার কিডনি ও লিভার সতেজ থাকবে।


ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং কলস্টেরল সমস্যা তার হবে না। এছাড়া এই পাতা ক্যান্সার প্রতিরােধক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এই গাছের পাতা খেলে ডায়াবেটিস টাইপ-২ কমবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

বর্তমানে এটির নামডাক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনসহ সারা বিশ্বে এটি এন্টি ভাইরাস হিসেবেও খুব।পরিচিত।

আমাদের সাথে থাকুন আমাদের সাবস্ক্রাইব করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন