আপনার কি অনিয়মিত মাসিক সমস্যা তাহলে এখন এই অনলান ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।

১.প্রশ্নঃ 

আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ২ মাস। বিয়ের ৩ দিন
পর পিরিয়ড হয়েছে।তখন পিরিয়ড ছিলাে ৫ দিন, তারপর ৪০ দিন পর আবার পিরিয়ড হয়েছে কিন্তু এখন ও সারতাছে না। আজকে ৭ দিন পার হলে পিরিয়ডের। এখন আমি কি করতে পারি পরামর্শ চাচ্ছি?


মাসিক,ঋতুস্রাব অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ,masik,পিরিয়ড কি,অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়,মাসিক কত দিন হয়

উত্তরঃ

Dr. S. Chy
MEES, MPH

প্রিয় গ্রাহক, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।গ্রাহক,
রক্তপাতের পরিমানের কি বেশি? মাসিক কি
আগে নিয়মিত ছিল? রাতের বেলা স্যানিটারি
প্যাড বা কাপড় পরিবর্তনের প্রয়ােজন পড়ে?
অনেক কারণেই এমন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে
পারে। যেমন- 
১) হরমােনের অসামঞ্জস্যতা বা
ভারসাম্যহীনতা
 ২) গর্ভধারণজনিত অনিয়মিত পিরিয়ড।
 ৩) গর্ভনিরোধ বড়ি খাওয়ার ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড। 
৪) শারীরিক ওজন বাড়লে বা কমলে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থাইরয়েড রােগ এবং পলিস্টিক ওভারিয়ান রােগের সম্ভাবনা বাড়ায়।
মাসিক,ঋতুস্রাব অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ,masik,পিরিয়ড কি,অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়,মাসিক কত দিন হয়


৫) মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে।
 ৬) জরায়ুর টিউমার এর ফলে হতে পারে। 
৭) জরায়ুতে পলিপ হলে হতে পারে।
 ৮) এডেনােমায়ােসিস (Adenomyosis)
৯)এন্ডােমেট্রিওসিস (Endometriosis) রােগের
কারণেও হতে পারে। 

তাই ঠিক কি কারনে আপনার
এমন হচ্ছে তা জানার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে
হবে। আপনি একজন গাইনি চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। আশা করি আপনাকে সাহায্য
করতে পেরেছি। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট  করুন

২.প্রশ্নঃ

২ মাস পিরিয়ড হচ্ছেনা কি করবাে?

মাসিক,ঋতুস্রাব অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ,masik,পিরিয়ড কি,অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়,মাসিক কত দিন হয়

উত্তরঃ

Dr. Khadega Akter Choudhury
MBBS
প্রিয় গ্রাহক, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বয়স কত? কখন আপনার প্রথম পিরিয়ড
শুরু হয়েছে? সব সময়েই তা নিয়মিত ছিল?
আপনি কি অনিরাপদ সহবাস করেছিলেন?
আপনি সম্প্রতি ওরাল জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
খেয়েছিলেন বা বন্ধ করেছেন? আপনার অন্য
কোন শা রক সমস্যা বা স্ত্রী- রােগ আছে ?
জানান যদি আপনি প্রটেকশন ছাড়া যৌন সম্পর্ক
সহাপন করে থাকেন তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি
প্রেগন্যান্ট, কেননা প্রেগন্যান্সির প্রথম চিহ্ন হচ্ছে
পিরিয়ড না হওয়া।সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি
প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখতে হবে। এছাড়া, অনেক
কারণেই আপনার পিরিয়ড প্রভাবিত হতে পারে,
জীবন - যাত্রার ধারা পাল্টানাে যেমন-হঠাৎ ওজন
অনেক কমে যাওয়া,অধিক ব্যায়াম ও অধিক
দুঃশ্চিন্তা,থাইরয়েডের সমস্যা, contraceptive
বন্ধ করা অথবা চিকিৎসা বা স্ত্রী-রােগ বিষয়ক
অবস্থা। যদি আপনার পিরিয়ড স্বাভাবিকভাবে
নিয়মিত থাকে এবং উপরের কারণগুলােও
বাতিল করে দেওয়া যায় তখন আপনার একজন
0ynaecologist কে দেখানাে উচিত অন্য কোন
কারণ আছে কিনা সেটা জানার জন্যে। আশা করি
আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি। আর কোন
প্রশ্ন থাকলে, আমাদের জানাবেন, কমেন্টে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন