ভার্সিটির জীবনের ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প।



মোঃফজলে রাব্বি(নিসাদ) 

............

 ক্লাস শেষ করে আমি আর রিফাত একটা রেস্টুরেন্টে বসলাম।উদ্দেশ্য জমিয়ে রিফাতের পকেট ফাকা করা।সুযোগ পেলে রিফাত নিজেও আমার পকেট ফাকা করে নেয়।কিন্তু আজ সুযোগটা আমার।খাবার অর্ডার করা শেষে আমরা চুপচাপ বসে ছিলাম।হঠাৎ করেই দেখলাম আমাদের পাশের একদম শেষের টেবিলের আগের টেবিলে যে মেয়েটা বসে ছিলো উঠে দাঁড়ালো এবং সামনে থাকা ছেলেটাকে কিকি জানি বললো।স্পষ্ট শুনতে পেলাম না।মেয়েটার চেহারাটা দেখতে পারছিলাম না।মেয়েটার সামনে থাকা ছেলেটা কেমন একটা দৃষ্টি নিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে।মুহূর্তের মধ্যেই মেয়েটা ছেলেটাকে থাপ্পড় মেরে রাগি একটা লুক নিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে চলে গেলো।মেয়েটাকে দেখেই চিনে ফেললাম।চায়ের দোকানে দেখা সেই মেয়েটা।মেয়েটা বলার কারণ আমি তখনো তার নাম জানতাম না।পরে জেনেছি যে ওর নাম পুষ্পিতা।


বেশ কিছুদিন পরেই আবার দেখা হলো আমাদের।ও বাসা থেকে বের হচ্ছিলো আর আমিও মার্কেটে যাচ্ছিলাম।ওকে দেখে একটা সৌজন্যমূলক হাসি দিলাম।পরিবর্তে ও নিজেও হাসলো।


আমরা পাশাপাশি হাটছিলাম..


"মি. আড়চোখা আপনি??


"আমার নাম মি. আড়চোখা না।


"তাহলে নাম কি?


"প্রণব রায়হান।


"বাহ বেশ তো।আনকমন নেইম।


আমি ধন্যবাদ দিয়ে একটু জড়তা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম


"আপনার নাম টা?


"পুষ্পিতা রহমান।


"আপনার নামটাও সুন্দর।আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ভাবছিলাম।


এবারে পুষ্পিতা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকিয়ে দেখলো।তারপর একটু গম্ভীর ভাবে বললো-


"কি জিজ্ঞেস করবেন? আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা?


"না তো।


পুষ্পিতা মনে হয় আমার এরকম উত্তর শুনে বেশ অবাক আর আহত হলো।সুন্দরি মেয়েদের এই এক সমস্যা।আগেই নিজেকে নিয়ে আকাশ পাতাল ভেবে বসে।ওর চেহারাটা দেখে এরকমই মনে হচ্ছিলো আমার।


"তাহলে কি বলবেন?


"আসলে জানতে চাইছিলাম সেইদিন রেস্টুরেন্টে ছেলেটাকে ওইভাবে থাপ্পড় কেন মারলেন?যদিও পার্সোনাল প্রশ্ন তবুও...


"হুম পার্সোনালই বটে।


অপ্রস্তুত ভাবে হাসলো পুষ্পিতা।বুঝলাম বলতে চাচ্ছেনা।


"আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো??


পুষ্পিতা একটু হেসে বললো


"আজকে রেখে দিন।আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে।


কথাটা বলেই রিক্সা ঠিক করে চলে গেলো।আর আমি আমার কাজে চলে গেলাম...


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন